
রস কাকে বলে? রসসৃষ্টির উপাদান হিসেবে ভাব, স্থায়ী ও সঞ্চারী ভাব, বিভাব, আলম্বন ও উদ্দীপন বিভাব এবং অনুভাবের পরিচয়
প্রসঙ্গ: রস কাকে বলে? রসসৃষ্টির উপাদান হিসেবে ভাব, স্থায়ী ও সঞ্চারী ভাব, বিভাব, আলম্বন ও উদ্দীপন বিভাব এবং অনুভাবের পরিচয় দাও।
আলোচনা: প্রাচ্য-অলঙ্কার শাস্ত্রে ‘রস’ একটি পারিভাষিক শব্দ। রস ধাতুর মূল অর্থ হচ্ছে, আস্বাদন করা। অর্থাৎ যা আস্বাদন করা হয় তাই রস। তবে রসের স্বরূপ ও সংজ্ঞার্থ নির্ণয়ে প্রাচ্য অলঙ্কারিকগণ এক মত হতে পারেননি। তাঁরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে রসের সংজ্ঞা দিতে চেষ্টা করেছেন। প্রাচ্য আলঙ্কারিক মনীষী ভরত রসের সংজ্ঞার্থ নির্ণয় করতে গিয়ে যা বলেছেন তার সারাৎসার হচ্ছে –‘আস্বাদ্যত্বাৎ’; অর্থাৎ ‘যা আস্বাদিত হয়’ –তাই রস। বিশ্বনাথ কবিরাজ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সাহিত্য দর্পণ’ এ ভরতকে প্রতিধ্বনিত করেই রসের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন- “রস্যত্যে ইতি রস:”। অর্থাৎ যা রসিত বা আস্বাদিত হয় তাই রস। সুতরাং সহজভাবে বললে বলা যায়, পাঠক কাব্য তথা সাহিত্য থেকে যা অনুভবে আনন্দ পান তাই রস।
ভারতীয় আলঙ্কারিকদের মতে রস নয় প্রকার। এগুলো হলো নিম্নরূপ:
১। শৃঙ্গার বা আদি রস। ২। বীররস। ৩। রৌদ্ররস। ৪। হাস্য রস। ৫। করুণ রস। ৬। ভয়ানক রস। ৭। ভীবৎস রস। ৮। অদ্ভুত রস। ৯। শান্ত রস।
ভাব : ‘ভাব’ কথাটি রসের সাথে সম্পৃক্ত। এটি নানা অর্থে ব্যবহৃত হয়। ‘ভাব’ শব্দটি বাংলায় অনুভব, জন্ম, উৎপত্তি, সৃষ্টি, অস্তিত্ব, স্বত্ত্বা, অভিপ্রায়, ধারণা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। আলঙ্কারিক সুধীরকুমার দাশগুপ্ত তাঁর কাব্যলোকে গ্রন্থে ভাবের তিনটি আলঙ্কারিক অর্থে উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো:
১। রতি, শোক প্রভৃতি ভাব (যার স্থায়ী ও ব্যভিচারী এই দুইটি স্বীকৃত ভাগ রয়েছে)।
২। দেবাদিবিষয়া রতি (প্রধান ভূত সঞ্চারী এবং উদ্বুদ্ধমাত্র স্থায়ী) এবং
৩। নির্বিকার চিত্তে প্রণয়জনিত প্রথম বিক্রিয়া, নারীদের ভাবের পূর্বাবস্থা।
সুধীরকুমার দাশ উল্লিখিত তিনটি অর্থের মধ্যে রসের ক্ষেত্রে প্রথমটিকে গ্রহণের কথা বলেছেন। ড. সুশীলকুমার দে তাঁর বিখ্যাত History of Sanskrit Poeitics গ্রন্থে ভাব শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে Emotion শব্দটি ব্যবহার করেছেন। শ্রী অতুলচন্দ্র গুপ্তও Emotion শব্দটি দিয়েই ভাব শব্দটিকে বুঝিয়েছেন।
ভাব লৌকিক Emotion -বা বাইরের বস্তুজগতের দৃশ্যমান কোনো বিষয় নয়; বরং রস-এর মতোই অলৌকিক। কাব্য জগতের বিভাব থেকে সামাজিকের ইচ্ছা থেকে সৃষ্ট একটি বিষয় হলো ভাব। ভারতমুনি ‘ভাব’ ব্যাখ্যায় কখনও লৌকিক জগতের কারণ, কাজ বা সামাজিককে সরাসরি দেখার কথা উল্লেখ করেননি বরং ভাব কাব্যরস দ্বারা সৃষ্ট, বিভাব দ্বারা সংগৃহীত, অনুভাব দ্বারা উপলব্ধ এবং অভিনয় দ্বারা সুস্পষ্টীকৃত ইত্যাদি কথা বলেছেন। অভিনবগুপ্ত বিষয়টি পরিস্কার করে বলেছেন-
‘যাহা কবির অন্তর্গত অনাদিকাল থেকে আগত প্রাক্তন সংস্কারের প্রকাশ-স্বরূপ, কখনও লৌকিক বিষয় –জাত নয়।’
ড: সুধীরকুমার দাশগুপ্ত বিষয়টির উপসংহার টেনে বলেছেন এই ভাবে-
‘অতএব কাব্যশাস্ত্রের ‘ভাব’ হইতেছে সামাজিকের চিত্তবৃত্তি বিশেষ, যাহা অলৌকিক
বিভাবাদির বলে বাসনালোক হইতে উদ্বৃদ্ধ হইয়া বিভাবাদিকে আস্বাদনযোগ্য করে।’
সুতরাং প্রাচ্য-কা্ব্যতত্ত্বে ‘ভাব’ হচ্ছে- সহৃদয় সামাজিকের চিত্তবৃত্তি-বিশেষ, যা লোকাতীত বিভাবাদির সাহায্যে বাসনালোক হতে উদ্বৃদ্ধ হয়ে বিভাবাদিকে আস্বাদনযোগ্য করে তোলে। এটা সহৃদয় হৃদয়ে বিগলন বিশেষ।
প্রাচ্য-কাব্যতাত্ত্বিকেরা ভাবকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করেছেন। এগুলো হলো-
১। স্থায়ী ভাব এবং
২। ব্যভিচারী বা সঞ্চারী ভাব।
নিচের এদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হলো-
১। স্থায়ী ভাব: Emotion এর বাংলা যদি আবেগ ধরে নেয়া হয়; তাহলে বলা যায় যে, ভাব, আবেগ বা Emotion মানুষের সহজাত। লৌকিক জগতের নানা বাহ্যিক কারণে মানুষের মনে নানা ভাব জন্ম নেয়। এর কোনো কোনোটি মনে জেগে উঠে আবার বিলিন হয়ে যায়, আবার কোনো কোনোটি দৃঢ় হয়ে একেবারে স্থায়িত্ব লাভ করে। এ রকম স্থায়িত্ব প্রাপ্ত ভাবকেই বলা হয় স্থায়ীভাব। এ প্রসঙ্গে পণ্ডিত বিশ্বনাথ কবিরাজ তাঁর সাহিত্যদর্পণ গ্রন্থে বলেন-
‘অবিরুদ্ধ বা বিরুদ্ধ ভাবগুলো যাকে সরিয়ে দিতে পারে না,
যা আস্বাদরূপ অঙ্কুরের মূল স্বরূপ তাকেই স্থায়ীভাব বলা যায়।’
আলঙ্কারিকদের মতে স্থায়ীভাব নয়টি। এগুলো হলো- রতি, শোক, হাস, ক্রোধ, উৎসাহ, ভয়, জগুপ্সা, বিস্ময় ও শম।
২। ব্যভিচারী বা স্ঞ্চারীভাব: মানুষের মনের নয়টি স্থায়ী চিত্তবৃত্তি বা স্থায়ীভাবের বাইরে আরও আকাশ –বাসনা থাকে। তবে সেগুলো স্থায়ী হয় না; ক্ষণে জেগে উঠে ক্ষণেই আবার মিলিয়ে যায়। মানব মনের এই অস্থায়ী চিত্তবৃত্তি বা ভাবগুলোকেই অলঙ্কার শাস্ত্রে ব্যভিচারী ভাব বা স্ঞ্চারী ভাব বলা হয়। তবে এগুলো কোনো স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই। কারণ এগুলোর উদয় এবং বিলয় ঘটে কোনো স্থায়ীভাবের সূত্রে। এজন্যে এগুলো স্থায়ীভাবের ব্যভিচারী স্ঞ্চারী বা সহচারী ভাব। আলঙ্কারিকদের মতে ব্যভিচারী বা সঞ্চারী ভাবের সংখ্যা তেত্রিশ। সংস্কৃত পণ্ডিত লালমোহন বিদ্যানিধি তার কাব্যণির্ণয় গ্রন্থে ছন্দের মাধ্যমে এই তেত্রিশটি ভাবের উল্লেখ করেছেন। এগুলো -
‘নির্বেদ, আবেগ, দৈন্য, জড়া, উগ্রতা।
মোহ, মদ, অপস্মার, নিদ্রা, চপলতা।
বিরোধ, বিষাদ, শ্রম, ঔসুক্য, স্মৃতি।
মরণ, আলস্য, স্বপ্ন, চিন্তা, গ্লানি, ধৃতি
অসুয়া, উন্মাদ, শঙ্কা, অবহিত্থা, হর্ষ।
লজ্জা, মতি, গর্ব, ব্যাধি, সন্ত্রাস, অমর্ষ।
ব্যভিচারি ভাবের বিতর্ক বাকি রয়।
ইহা দিলে সঞ্চারীর সর্ব অঙ্গ হয়।
বিভাব: আলঙ্কারিক ভরত তাঁর বিখ্যাতক নাট্যশাস্ত্র গ্রন্থে বিভাবের অর্থ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন-বিভাব, কারণ, নিমিত্ত, হেতু ইত্যাদি একই পর্যায়ের শব্দ। প্রকৃতপক্ষে আমাদের লৌকিক জীবনে যা রতি বা শোক ইত্যাদি ভাবের উদ্বোধক, কাব্য কিংবা নাটকে তার শিল্পীত সন্নিবেশই বিভাব। আলঙ্কারিক বিশ্বনাথ কবিরাজ এই বক্তব্যকে আরো স্পষ্ট করে বলেছেন-
‘লোকে যা রতি ইত্যাদি ভাবের হেতু বা উদ্বোদক, কাব্যে ও নাট্যে তাই বিভাব।’
আলঙ্কারিকদের বক্তব্যের সূত্র ধরে বলা যায় যে, যেহেতু এগুলো পাঠক বা সামাজিক চিত্তে লৌকিক জগতের রতি প্রভৃতি ভাবকে বিভাবিত করে অর্থাৎ উদ্বোধিত করে সেহেতু এগুলো বিভাব। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আপন জনের বিদায়ে গভীর দুঃখে আমরা যখন চরমভাবে শোকার্ত হই, ব্যথিত হই, তখন তার প্রকাশ ঘটে হৃদয় বিদারক তীব্র ব্যাকুলতায়; আবার কোনো অন্যায় উৎপীড়ন, হত্যা রাহাজানিতে আমরা রাগান্বিত হই, মূহূর্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠি অবিবেকী অন্যায় আচরণে; আবার ভীত সস্ত্রস্ত হই সামনে কোন বিষাক্ত সাপ দেখলে, পাগলা কুকুর কিংবা বাঘ-সিংহ দেখলে, তেমনি প্রীত হইই প্রেমের গানে; উৎসাহে উদ্বেলিত হই মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাময়ী গান শুনে। অর্থাৎ জাগতিক জীবনের যে সকল কারণ আমাদের হৃদয় রাজ্যের নানা ভাবকে উদ্বেলিত করে জাগিয়ে তোলে তাই বিভাব।
রস অলৌকিক, লৌকিক নয়। তাই রসানুভূতির কারণ বিভাবও অলৌকিক। কিন্তু লৌকিক জগতের কোনো ঘটনার কারণমাত্রই লৌকিক। কবি তার প্রতিভার যাদু স্পর্শে যখন এই লৌকিক কারণটির অলৌকিক রূপ ফুটিয়ে তোলেন, তখনই কাব্যে তা হয়ে উঠে বিভাব। অন্তর্গত বৈশিষ্ট্যের আলোকে বিভাবকে দুই ভাবে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো- আলম্বন বিভাব ও উদ্দীপন বিভাব।
আলম্বন বিভাব: আলম্বন অর্থাৎ রসের অবলম্বন। যে বিষয় বা বস্তুকে অবলম্বন করে রসের উৎপত্তি, অর্থাৎ যা রসের অবলম্বন, তা-ই আলম্বন বিভাব। রামায়ণে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ ইত্যাদি আলম্বন বিভাব। চণ্ডীদাসের পদাবলীতে আলম্বন বিভাব শ্রীকৃষ্ণ। রাধার প্রবল অনুরাগের আলম্বন বিভাব তিনি। কবি কৃষ্ণকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছেন। ফলে কৃষ্ণ রাধার অনুরাগের আলম্বন হয়ে উঠেছে। যেমন:
যত নিবারিয়ে চাই নিবার না যায় রে।
আন পথে যাই সে কানু-পথে ধায় রে।
এ ছার রসনা মোর হইল কি বাম রে।
যার নাম নাহি লই লয় তার নাম রে।
উদ্দীপন বিভাব: যে সব অবস্থা বা বিশেষ পরিবেশ বিভিন্ন ভাব জাগাতে সাহায্য করে রস সৃষ্টির পথকে সুলভ করে তোলে, তাকে বলা হয় উদ্দীপন বিভাব। ইংরেজিতে এগুলোকে বলা হয় objective conditions । অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস উদ্দীপন বিবাবের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন- যে সব বস্তু বা আবহ লৌকিক জীবনে বিশেষভাবে উদ্দীপনে সহায়তা করে- তাকে অলঙ্কার শাস্ত্রের পরিভাষায় উদ্দীপন বিভাব বলে। ‘ভাব’ যে কারণে রসে পরিণত হয় , তার একটা উপযুক্ত পরিবেশ থাকে কাব্যে। রবীন্দ্রনাথের ‘বিদায় অভিশাপ’ থেকে একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেতে পারে। যেমন-
দেবযানী।
আছে মনে-
যেদিন প্রথম তুমি আসিলে হেথায়
কিশোর ব্রাহ্মণ, তরুণ অরুণ প্রায়
গৌরবর্ণ তনুখানি স্নিগ্ধদীপ্ত-ঢালা,
চন্দনে চর্চিত ভাল, কণ্ঠে পুস্প মালা
পরিহিত পট্টবাস, অধরে নয়নে
প্রসন্ন সরল হাসি, হেথা পুষ্পবনে
দাঁড়ালে আসিয়া-
এখানে নায়কের (কচের) তরুণ অরুণ গৌরবর্ণ তনু, চন্দন চর্চিত ভাল, পুষ্পমালা, পট্টবাস, অধর ও নয়নের প্রসন্ন হাসি প্রভৃতি দেবযানীর মনে রতিভাব জাগাতে উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। আর এ কারণেই এগুলো উদ্দীপন বিভাব। আর কচ এখানে আলম্বন বিভাব।
অনুভাব: আলঙ্কারিকদের ধারণা কাব্য নিমার্ণ কলা তিনটি পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত। এই তিনটি পর্যায়ের একটি হলো অনুভাব। পণ্ডিতরাজ জগন্নাথ অনুভাবের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন-
“যা কার্য বলে আখ্যায়িত, তাকেই অনুভাব শব্দ দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। অনু অর্থ পশ্চাৎভাব
অর্থাৎ পরে উৎপত্তি যাদের তারা অনুভাব। যা ভাবকে অনুভব করায় তাই অনুভাব।”
আলঙ্কারিকদের মতে মানুষের আবেগের দু’টি দিক বর্তমান-একটি হলো মানসিক বা আন্তরিক এবং অন্যটি হলো বাহ্যিক বা শারীরিক। মানসিক পরিবর্তন সর্বদাই আমাদের দৃষ্টির অগোচরে ঘটে থাকে কিন্তু শারীরিক পরিবর্তন অবশ্যই দৃষ্টিগ্রাহ্য। প্রাচ্য কাব্য তত্ত্বে এ ধরনের বাহ্য তথা শারীরিক লক্ষণগুলোর নাম দেয়া হয়েছে অনুভাব। ড. সুধীরকুমার দাশগুপ্তের ভাষায়ঃ
“বস্তুত: নায়ক-নায়িকার প্রত্যেকটি কার্য বা চেষ্টাই কোনো
চিত্ত বৃত্তি বা ভাবের ফল বলিয়া অনুভাব রূপে গণ্য হইবে।”
অর্থাৎ নায়ক কিংবা নায়িকার চিত্তে যখন কোন ভাব উদ্রিক্ত হয়, তখন অবশ্যই তার হৃদয় বৃত্তির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে অর্থ তার শরীরেও কতগুলো লক্ষণের প্রকাশ অনিবার্য হয়ে উঠে। ধরা যাক সে ভাব যদি হয় রতি, তবে তার অনুভাব রূপে আসে কটাক্ষ, ভ্রুবিলাস, কম্পন, রোমাঞ্চ ইত্যাদি শারীরিক লক্ষণসমূহ। আবার সে ভাব যদি হয় শোক, তবে অনুভাব রূপে অনিবার্য রূপে প্রকাশ পেয়ে থাকে, দীর্ঘশ্বাস, হাহাকার, ক্রন্দন, অশ্রু, মূর্ছা ইত্যাদি। বিশ্বনাথ কবিরাজ তাই অনুভাবের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন-
“চিত্ত ভাব অবরুদ্ধ হলে, যে সব স্বাভাবিক বিকার বাইরে প্রকাশ পায়,
সে সব লৌকিক কার্য কাব্য ও নাটকে অনুভাব রূপে আখ্যায়িত।”
মোটকথা কোনো একটি বিশেষ ভাবের পরে শারীরিক যে পরিবর্তন দৃষ্টি গ্রাহ্য হয় তাই কাব্য তত্ত্বে অনুভাব।
ড. এ. আই. এম. মুসা
সহযোগী অধ্যাপক বাংলা
সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর।